চলনবিলের মানসকন্যা সিংড়া উপজেলা নাটোর জেলার অন্যতম প্রাচীন থানা। বেশ কিছুদিন পূর্বে চলনবিল তথা সমগ্র সিংড়া উপজেলাই জলমগ্ন থাকত, উপজেলার তিন চতুর্থাংশ সারা বছর জলমগ্ন থাকত। প্রফেসর আব্দুল হামিদ টি, কে রচিত “চলনবিলের ইতিকথা” নামক গ্রন্থ হতে জানা যায় এখানে জলদস্যুদের আস্তানা ছিল।
চলনবিলের বিশাল জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ জন্মাতো, যেমনঃ- শাপলা, পদ্ম, নলখাগড়া ও হোগলা ইত্যাদি। আরেক ধরনের জলজ উদ্ভিদ জন্মাতো যার ফল ত্রিভুজাকৃতির, যা পানিফল নামে পরিচিত। মোঘল বাদশাহ আকবরের রাজত্বের সময় পূর্বাঞ্চল হতে কর আদায়ে চলনবিলের মধ্যদিয়ে নৌযানের
সিংড়া উপজেলা নাটোর জেলার অন্তর্গত এবং জেলার পশ্চিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন প্রায় ৫২৮.৪৬ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার মোট ১২টি ইউনিয়নে ৪৪৯ টি মৌজায় ৪৩৯ টি গ্রাম রয়েছে। উপজেলাটি প্রায় ২৪০ ৩০র্ ও ২৪০ ৭০র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯০ ১০র্ ও ৮৯০ ৩০র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
এ. এফ. হাসান আরিফ
মাননীয় উপদেষ্টা
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়
প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত)
সিংড়া পৌরসভা, নাটোর ও
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সিংড়া, নাটোর।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় সিংড়া পৌরসভায় ২টি নতুন পাম্প হাউজ নির্মান করা হয়েছে, যার একটি শোলাকুড়ায় এবং অপরটি দমদমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট অবস্থিত। এছাড়া, প্রায় ১০ কিলোমিটার নতুন পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে এই সময়কালে।
বিগত ৫ বছর পূর্বে সিংড়া পৌরসভার হাতে গোনা কয়েকটি রাস্তা ব্যতিত সকল রাস্তাই ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। শহরে পর্যাপ্ত সড়কবাতি না থাকায় রাত্রীকালীন জননিরাপত্তা ছিলনা বললেই চলে। মাত্র ২৫৫টি ইলেকট্রিক সড়কবাতি ছিল পুরো পৌর এলাকায়। বর্তমাণ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই জননিরাপত্তার উপর বিশেষ দেয়া হয়,
ইতিমধ্যেই সিংড়া পৌরসভায় সরকারীভাবে শতভাগ স্যানিটেশন কাভারেজ ঘোষণা করা হয়েছে। কাঁচা ল্যাট্রিন নাই বললেই চলে। জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে নির্মাণ করা হয়েছে কমিউনিটি পাবলিক টয়লেট। ফলে, যেখানে সেখানে মল-মুত্র ত্যাগের বিষয়টি রোধ করা সম্ভব হয়েছে অনেকটাই।