চলনবিলের মানসকন্যা সিংড়া উপজেলা নাটোর জেলার অন্যতম প্রাচীন থানা। বেশ কিছুদিন পূর্বে চলনবিল তথা সমগ্র সিংড়া উপজেলাই জলমগ্ন থাকত, উপজেলার তিন চতুর্থাংশ সারা বছর জলমগ্ন থাকত। প্রফেসর আব্দুল হামিদ টি, কে রচিত “চলনবিলের ইতিকথা” নামক গ্রন্থ হতে জানা যায় এখানে জলদস্যুদের আস্তানা ছিল।
চলনবিলের বিশাল জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ জন্মাতো, যেমনঃ- শাপলা, পদ্ম, নলখাগড়া ও হোগলা ইত্যাদি। আরেক ধরনের জলজ উদ্ভিদ জন্মাতো যার ফল ত্রিভুজাকৃতির, যা পানিফল নামে পরিচিত। মোঘল বাদশাহ আকবরের রাজত্বের সময় পূর্বাঞ্চল হতে কর আদায়ে চলনবিলের মধ্যদিয়ে নৌযানের
সিংড়া উপজেলা নাটোর জেলার অন্তর্গত এবং জেলার পশ্চিমাংশে অবস্থিত। এর মোট আয়তন প্রায় ৫২৮.৪৬ বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলার মোট ১২টি ইউনিয়নে ৪৪৯ টি মৌজায় ৪৩৯ টি গ্রাম রয়েছে। উপজেলাটি প্রায় ২৪০ ৩০র্ ও ২৪০ ৭০র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯০ ১০র্ ও ৮৯০ ৩০র্ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তা সফল করতে দেশের পৌরসভাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সিংড়া পৌরসভা বিগত কয়েক বছরে অত্র এলাকার সার্বিক উন্নয়নে যে সকল উদ্যোগ তথা প্রকল্প গ্রহণ করেছে, তা নি:সন্দেহে সর্বজনস্বীকৃত।
সম্মানিত পৌরবাসী,
আসসালামু আলাইকুম। গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত সিংড়া পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করায় আমি আপনাদের নিকট চিরকৃতজ্ঞ। আপনারা জানেন,
দূর্যোগ মোকাবেলায় বর্তমান পৌর পরিষদ সারাদেশে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যে কোন দূর্যোগে জনসাধারণের পাশে থাকা, তাদের সহযোগিতা করা পৌরসভা কর্তব্য। কিন্তু, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজন উপেক্ষা করে জনসাধারণের সেবা করা আজকের দিনে বিড়ল, যা বর্তমান পরিষদের একটি অন্যতম উদাহরণ।
বতর্মান পৌর পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের পর বিগত ৫৫ মাসে আরসিসি সিঁড়িঘাট স্থাপন করা হয়েছে। সিংড়া পৌরসভা নদী ও বিল পরিবেস্টিত, তাই সিঁড়িঘাট সমূহ নির্মাণ করায় একদিকে যেমন জনসাধারণ উপকৃত হয়েছে, অপরদিকে শহরের সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।